খুলনা ও বরিশাল সিটি করোপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। আজ (১২ জুন) এ দুই সিটি করপোরেশনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন মনিটর করবে নির্বাচন কমিশন।
এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণ শুরুে। মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র পাহারায় রয়েছে ১৬ থেকে ১৭ জনের ফোর্স। মাঠে নির্বাচনী আচরণ রক্ষায় নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক দলও রয়েছে। নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন নির্বাচন কমিশনাররা।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল প্রতীক), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা প্রতীক)।
আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শফিকুর রহমান মুশফিক। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৭৭ জন। নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৮৯ কেন্দ্রের ১৭৩১টি কেন্দ্রে। এদিকে বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা প্রতীক), জাতয়ী পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা প্রতীক) ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল)।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে রয়েছেন কামরুল আহসান রুপন, হাতী প্রতীকে মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকে মো. আলী হোসেন হাওলাদার। এছাড়া এ সিটিতে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫৮ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ জন এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। বরিশাল সিটিতে ভোট প্রদান করবেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার। ভোটগ্রহণ হবে ১২৬ কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে।
অন্যদিকে দুই সিটিতে নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টা সময়ের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোটের দিন যন্ত্রচালিত যান চলাচল সীমিত থাকবে। একইসঙ্গে নির্বাচনী সব ধরনের মিছিল বন্ধ করা হয়েছে। ভোটারদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে এলাকায় সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, খুলনা ও বরিশাল সিটির নির্বাচন অনেক ভালো হবে। আশা করছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের থেকেও ভালো হবে। কেউ যদি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়ায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কমিশন অতীতের থেকেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।